উৎপল কুমার মন্ডল শ্যামনগর প্রতিনিধি:’ শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাঅষ্টমী। দেশের বিভিন্ন স্থানে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে পূর্জা অর্চনা। এরপরই শুরু হবে কুমারী পূজা। এদিন সর্বকামনা সিদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণ কন্যাকে কুমারী হিসেবে পূজা করা হয় দেবী দুর্গার অঙ্গরূপে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে আজ রবিবার (২২ অক্টোবর) শ্যামনগর উপজেলা সহ সারাদেশে পূজামণ্ডপ গুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূজা-অর্চনা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে পরানো হয় নতুন কাপড়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক, আর পায়ে আলতা। এরপর সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হবে কুমারী মাকে। চারদিক মুখরিত শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। এ পূজা দেখতে সকাল থেকেই মণ্ডপে ভিড় করছেন হাজার হাজার পূণ্যার্থী। ভক্তদের কষ্ট দূর করতে এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বিজয়া দশমীর দিনে একই বাহনে ছেড়ে যাবেন মর্ত্যলোক।
জানা গেছে, মহাঅষ্টমীতে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কুমারী পূজা। পূজার চারদিনের মধ্যে মহাঅষ্টমীর অঞ্জলি ও কুমারী পূজা সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। মহাষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং সকাল থেকে কুমারী পূজা। এদিন কুমারী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করবেন পুণ্যার্থীরা।১৬টি উপকরণ দিয়ে মহাঅষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাঅষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
Leave a Reply